ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

জোয়ারে ভাঙন আতংকে ৫ গ্রামের মানুষ

এম.এ মান্নান, কুতুবদিয়া ::  কুতুবদিয়ার কৈয়ারবিল বেড়িবাঁধের পাশে প্রতি জোয়ারেই ভাঙছে ঘর-বাড়ি। অমাবশ্যা ও পূর্ণিমার অতিরিক্ত জোয়ারের ফলে ঢেউয়ের ধাক্কায় বেড়িবাঁধ সংলগ্ন দোকানের অর্ধেকটটা চলে গেছে সাগরে। ফলে আতংকে রাত কাটায় কৈয়ারবিল ইউনিয়নের অন্তত: ৫ গ্রামের মানুষ।

স্থানীয় সাবেক সাংসদ পরিদর্শন করে জরুরী ভিত্তিতে বালুর বস্তা ফেলার প্রতিশ্রুতি দিলেও রাজনৈতিক পালাবদলের কারনে তা বাস্তবায়নে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। কবে নাগাদ ভাঙন কবলিত এলাকা মেরামত হবে এ নিয়ে দুচিন্তার শেষ নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মতির বাপের পাড়া, ফকির পাড়া,মাঝির পাড়া, বিন্দা পাড়া, মধ্যেম কৈয়ারবিল প্রভৃতি গ্রামের বেড়িবাঁধ লাগোয়া প্রায় ২ শতাধিক কাচাঘর ভাঙনের কবলে। একই সাথে বেড়িবাঁধে ছোট দোকানগুলোর অনেকটা অর্ধেক আছে। বাকিটা চলে গেছে সাগরে।

ফকির পাড়ার মো: জামাল, মতির বাপের পাড়ার তাহাজুল ইসলাম জানান, প্রতি জোয়ারেই কম-বেশি ভাঙন থাকে। ক্রমেই ভিতরে চলে আসছে জোয়ারের পানি। অধিকাংশ জায়গা বালুর জমি হওয়ায় তা সহজেই সাগরগর্ভে যাচ্ছে। আতংকে দিন কাটছে তাদের। জরুরী ভাবে ভাঙন ঠেকাতে তারা বালুর বস্তা ফেলার দাবি জানান।
১নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য কফিল উদ্দিন বলেন, দিন দিন ভাঙন বেড়েই যাচ্ছে। জরুরী মেরামতের জন্য নিদের্শনা এলেও তা অন্যত্র সরিয়ে নেন প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধিরা। ফলে সৈকত পাড়ের অন্তত ৪টি গ্রামের জরুরী কাজ সময়মত হচ্ছেনা।
২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবু আহমদ বলেন, প্রতি জোয়ারের সময়েই ভাঙতে থাকে। টেকসই বাঁধ না হওয়ায় আতংকে দিন কাটায় বাসিন্দারা। সাবেক এমপি পরিদর্শন করে জিওব্যাগ ফেলার আশ্বাস দিয়েছিলেন। সেটা কখন হবে তা বলতে পারছেন না তিনি।

উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আকবর খাঁন বলেন, কৈয়ারবিলে ভাঙনে জরুরী বালির কাজ করার জন্য আগে যারা দায়িত্বে ছিল,তাদের পরিবর্তন করে পানি উন্নয়ন বোর্ডর তত্বাবধানে করা হলে টেকসই হবে। অসাধু ব্যক্তিরা বার বার নিম্নমানের কাজ করায় ভোগান্তি কমছেনা বলে তিনি মনে করেন।
কুতুবদিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারি প্রকৌশলী এলটন চাকমা বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধের জরুরী কাজের কিছু অংশে শুরু করা হয়েছে। জিওব্যাগ মজুদ না থাকায় বাকিগুলোতে শুরু করা যাচ্ছেনা।

পাঠকের মতামত: